স্ব-সত্তা: আত্মজ্ঞানের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা
মানবজীবনে নিজের সত্তা সম্পর্কে জ্ঞানী হওয়াটা অপূর্ব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই জীবনের পাঠ ও মিশনের অন্তর্গতে আমাদের নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা এবং আনন্দের সংস্পর্শে অবলম্বন করতে চাই। স্ব-সত্তা নামক একটি সূত্রের আলোকে আমরা নিজের সত্তার অধিকার ও ব্যক্তিগত জীবনে তা প্রকাশ করার মহান মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
স্ব-সত্তা বর্ণনা করার জন্য আমাদের প্রথমে জেনে নিতে হবে এটি কী বলে। স্ব-সত্তা হলো আমাদের নিজের সত্তার সম্পর্কে সচেতনতা এবং অবস্থানের মতো পরিচিতি। এটি বিচার করার জন্য আমাদের নিজেকে একাগ্র করতে হবে এবং আমাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্বকে উপস্থাপন করতে হবে।
আমাদের স্ব-সত্তার সাধারণ প্রকাশ মানে হলো নিজের মধ্যে সন্তুষ্টি, সম্মোহন এবং শান্তির স্থান সৃষ্টি করা। আমাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্বে আমরা সচেতনভাবে আনন্দের সন্ধান করতে পারি এবং এই আনন্দময় স্থানকে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রকাশ করতে পারি।
স্ব-সত্তা ধার্মিক জীবনের অভিন্ন অংশ। আমাদের সত্তা কেন্দ্রিত ধার্মিক জীবন পালনে আমরা আনন্দের সাথে সম্পূর্ণ সাহস ও সংগঠন অর্জন করতে পারি। আমাদের স্ব-সত্তার মধ্যে আনন্দময় অস্তিত্বের জ্ঞান আমাদের বাধ্য করে তাকে ব্যক্তিগত জীবনে প্রকাশ করা।
আমাদের স্ব-সত্তার অর্জন বা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। ধ্যান, যোগ, ধার্মিক অনুষ্ঠান, গুরুগণের পরামর্শ, প্রতিদিনের সাধারণ কর্ম ও জীবনের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলি স্ব-সত্তার বিকাশে সহায়তা করে।
স্ব-সত্তা পেতে আমাদের নিজেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। আমরা আমাদের অসীম সত্তার মধ্যে নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই আনন্দময় অস্তিত্বকে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রকাশ করতে পারি।
স্ব-সত্তা একটি ব্যক্তিগত পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত। সাম্প্রতিক মানবিক সমাজে স্ব-সত্তার অধিকার এবং মর্যাদা প্রশ্ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। সমাজে স্ব-সত্তার উপস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত মুক্তির পথে অগ্রসর হতে হবে।
স্ব-সত্তা ও আনন্দময় জীবনে আমাদের সাধারণ কার্যকলাপে পরিচিতির প্রয়োজন। মন শুধানো, ধ্যান ও যোগের পালন, গুরুর সঙ্গে সম্পর্ক, সাধারণ কর্মের সঠিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি স্ব-সত্তার বিকাশে সাহায্য করে।
স্ব-সত্তা পেলে ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি অর্জন হয়। নিজের সত্তার সম্পর্কে সচেতন হয়ে আমরা আনন্দময় জীবন উপভোগ করতে পারি এবং আমাদের পরিবার, সমাজ এবং বিশ্বের সমৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারি।
স্ব-সত্তা অর্জন করলে আমরা আনন্দময় জীবন পাওয়ার সাথে সাথে বিশ্বের সম্পূর্ণ পরিবেশের সাথেও সম্পূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। বিশ্বের সকল জীবিত প্রাণীর সম্পর্কে সহানুভূতি ও পরিহিততার অনুভূতি আমাদের অধিকার হয়।
স্ব-সত্তা নিজের অসীম সত্তার সাথে সচেতনভাবে সম্পর্কিত হয়ে আনন্দময় জীবনের পথ উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়ার পাশাপাশি আমরা বিশ্বের সমগ্রতা ও সকল জীবিত প্রাণীর সম্পর্কে পরিহিত হতে পারি। স্ব-সত্তা একটি আনন্দময় জীবনের মূল মাধ্যম, যা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নতির পথে সাহায্য করে।
Comments
Post a Comment